সর্বশেষ আপটেড

আলিম ২০২২ প্রথম সপ্তাহের অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট  এর উত্তর

মাদ্রাসা আলিম দ্বাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অর্থনীতি পাঠ্যবই প্রথম পত্র থেকে প্রথম সপ্তাহে ২০ নম্বরের এসাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্টে উল্লেখিত নির্দেশনা সংকেত এবং মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে অর্থনীতি প্রথম পত্র প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করে অন্যান্য বিষয়ের সাথে জমা দিবেন। এই আর্টিকেলটি অনুসরণ করে আলিম ২০২২ প্রথম সপ্তাহের অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট  এর উত্তর তৈরি করতে পারবেন।

আলিম ২০২২ প্রথম সপ্তাহের অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট 

অ্যাসাইনমেন্টঃ হাওর এলাকার কৃষক সালামত সাহেবের একখন্ড জমিতে ধান ও গম উৎপাদনের নিম্নরুপ বিকল্প সম্ভাবনা অনুসৃত হয়েছে। যেমন : ধান উৎপাদন যখন ১৬, ১০ ও ০ মন হয়, তখন উৎপাদন হয় যথাক্রমে ০, ১০, ও ১৬ মন। প্রাপ্ত তথ্যের আলােকে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার অর্থনৈতিক তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

শিখনফল ও বিষয়বস্তুঃ (প্রথম অধ্যায়ঃ মৌলিক অর্থনীতির সমস্যা ও এর সমাধান)

২. উৎপাদন সম্ভবনা রেখা অঙ্কন; ৩. নির্বাচনজনিত সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যাসমূহ চিহ্নিতকরণ; ৮. মৌলিক অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অর্থব্যবস্থার সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নির্ণয় করতে পারবে;

আলিম ২০২২ প্রথম সপ্তাহের অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট  এর উত্তর

উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা:

মানুষকে আনন্দ বা তৃপ্তি দেয় এমন বস্তুগত অথবা অবস্তুগত দ্রব্য ও সেবা পাওয়ার আকাঙ্খাকে অভাব বলে। জন্মলগ্ন থেকেই মানুষকে সীমাহীন অভাবের সম্মুখীন হতে হয়।

একটি অভাব পূরণ হতে না হতেই আরেকটি অভাব দেখা যায়। মানুষের প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সেবার অভাব পূরণ হলে আরামদায়ক দ্রব্য বা সেবার অভাব অনুভূত হয়। সেটি পূরণ হবার সাথে সাথেই বিলাস জাতীয় দ্রব্য বা সেবার অভাবের মুখোমুখি হতে হয়। এভাবে মানুষের নিরন্তর চাওয়া বা অভাবের শেষ নেই।

যেমন- কোন মানুষ যখন ভাড়া বাসায় থাকে পরবর্তীতে আরাম আয়েশ বা স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নিজের বাসায় থাকার আকাঙ্খা অনুভব করে। সেটি পূরণ হলে মানুষের মনে উন্নতমানের গাড়ি, মূল্যবান অলংকার ও উন্নত সেবা ইত্যাদির অভাব সৃষ্টি হয়।

আবার কারও কারও ক্ষেত্রে যিনি দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছেন পরবর্তীতে তিনি উন্নত খাবার ও বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং অন্যান্য ভোগ্যদ্রব্য যেমন- টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, টেলিফোন ইত্যাদির অভাব অনুভব করেন।
উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা হল এমন একটি রেখা যার বিভিন্ন বিন্দুতে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ ও চলতি প্রযুক্তির সাপেক্ষে দুটি উৎপন্ন দ্রব্যের সম্ভাব্য বিভিন্ন সংমিশ্রণ নির্দেশ করে ।

উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার চিত্র:

আলিম ২০২২ প্রথম সপ্তাহের অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট  এর উত্তর

এই রেখাটি PPC রেখা নামে বেশি পরিচিত। অভাব অসীম এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা সব অভাব একসাথে পূরণ করতে পারি না । তবে দুষ্প্রাপ্যতার সমস্যা এবং নির্বাচনের প্রয়োজনীয় উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার সাহায্যে ব্যাখ্যা করতে পারি । অর্থাৎ বর্তমান সম্পদ ও প্রযুক্তির সাহায্যে সমাজে কোন দ্রব্য কি পরিমান উৎপাদন করা হবে তা আমরা এই উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা হতে জানতে পারি ।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক লিপসি বলেন,”উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা হল এমন একটি রেখা যা বিভিন্ন দ্রব্যের এমন বিকল্প সমন্বয়সমূহ প্রকাশ করে যেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে অর্জন করা সম্ভব যদি প্রাপ্ত উৎপাদিত সম্পদের সবটুকুই ব্যবহার করা যায় “।

চিত্রে AB একটি উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা । A বিন্দুতে X দ্রব্যের উৎপাদন শুন্য এবং B বিন্দুতে উৎপাদন শূন্য । Y দ্রব্যের A ও B এর মাঝে উভয় দ্রব্যের উৎপাদন নির্দেশিত । যেমন – P বিন্দুতে Y এর OY1 , এবং X এর OX1 Q বিন্দুতে Y এর OY2 ও X এর OX2 , এবং R বিন্দুতে Y এর OY3 ও X এর OX3 উৎপাদন সংমিশ্রণ নির্দেশিত । সুতরাং A, P, Q, R ও B বিন্দুকে নিয়ে গঠিত হয় উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা। তবে এখানে উল্লেখ্য AB রেখার নিচে যে কোন বিন্দু ; যেমন – S – এ উৎপাদন সম্ভব তবে এই বিন্দুতে উৎপাদন করলে উৎপাদনের উপাদানগুলাের ব্যবহার অপূর্ণ থেকে যাবে । আবার X – দ্রব্য । উপকরণের সীমাবদ্ধতার জন্য AB রেখার আওতার বাইরে ; যেমন -M বিন্দুতে উৎপাদন সম্ভব নয় এটা অ -অর্জনযােগ্য সমন্বয় প্রকাশ করে ।
সুতরাং সম্পদ বা উপকরণের সীমাবদ্ধতার কারণেই কোন্ কোন্ দ্রব্য কি পরিমাণে উৎপাদন করতে হবে তা উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার সাহায্যে জানা যায় ।

উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার বৈশিষ্ট্যসমূহ উপরিউক্ত আলােচনার প্রেক্ষিতে সীমিত সম্পদ ও অসীম অভাবের কারনে সৃষ্ট নির্বাচন সম্যাটি উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার সাহায্যে ব্যাখা করা যায়।

কোন দেশেমর জনগনের খাদ্য অভ্যাসের কারনে নানা সময় উৎপাদন রেখার বা উৎপাদন কম বেশি হয় । কেউ ধান চাষের গুরুত্ব কোন বছর বেশি দেন, আবার কোন বছর গম চাষ বেশি করা হয়।

চিত্র অনুসারে আমরা বলতে পারি জনাব সালামত সাহেবের সম্পূর্ণ সম্পদ ব্যবহার করেল ধান মোট: ১৬ একক উৎপাদন করতে পারতেন । অথবা সম্পূর্ণ সম্পদ ব্যবহার করেল গম মোট: ১৬ একক উৎপাদন করতে পারতেন । এই ২টির যেকোন ১টির অভাব পূরন করতে পারতো ।

তাই জনাব সালামত সাহেব ১ম বছর সম্পূর্ণ ধান ১৬ একক উৎপাদন করে আর গম উৎপাদন করে ০ একক, আবার ২য় বছর সম্পূর্ণ ধান ১০ একক উৎপাদন করে আর গম উৎপাদন করে ১০ একক, আর ৩য় বছর সম্পূর্ণ ধান ০ একক উৎপাদন করে আর গম উৎপাদন করে ২০ একক,

এই ভাবে জনাব সালামত তার হাওর এলাকার এক খন্ড জমিতে ধান ও গম উৎপাদনের কাজ করে ।

অর্থনীতিতে উৎপাদন সম্ভাবনা রেখার তাৎপর্য

আলিম ২০২২ প্রথম সপ্তাহের অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট  এর উত্তর

এখানে X=ধান ও Y= গম দ্রব্যের উৎপাদন

  • চিত্র থেকে আমরা বুঝতে পারি যে , প্রদত্ত সম্পদ সাপেক্ষে X ও Y দ্রব্যের উৎপাদন N বিন্দুতে অর্জন করা সম্ভব নয় , কিন্তু M বিন্দুতে অর্জন করা সম্ভব । কিন্তু তা হবে অপূর্ণ নিয়োগ, যা বেকারত্ব নির্দেশ করবে। পক্ষান্তরে I , J , K বিন্দুতে সম্পদ সম্পূর্ণ নিয়োজিত তথা পূর্ণ নিয়োগ অবস্থা নির্দেশ করা হয় , এ বিন্দুগুলোর যে কোনোটিতে সর্বোচ্চ উৎপাদন নির্দেশ করা যায় । তাই উৎপাদন সম্ভাবনা রেখাকে অর্জনযোগ্য উৎপাদন সম্ভাবনা সীমান্ত (Production Possibility Frontier বা PPF ) রেখা বলা হয় ।
  • সম্পদের সল্পতার প্রেক্ষিতে দক্ষ ব্যবহার নির্বাচনঃ মানব জীবনে অসীম অভাব পূরণে যে স্বল্প বা সীমিত সম্পদ ও সুযোগ বিদ্যমান , তার দক্ষ ব্যবহার ধারণাটি PPC রেখার মাধ্যমে উপলব্ধি করা যায় । চিত্র থেকে বোঝা যায়, AB উৎপাদন সম্ভবনা রেখা সম্পদের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে। AB রেখার মধ্যে I, J বা Kবিন্দুতে উৎপাদন করা হলে সম্পদ – এর দক্ষ বা পূর্ণমাত্রার ব্যবহার বোঝায়। M বিন্দুতে উৎপাদন করা হলে তা সম্পদের অদক্ষ বা অপূর্ণ ব্যবহার নির্দেশ করে ।

এই ছিল তোমাদের আলিম ২০২২ প্রথম সপ্তাহের অর্থনীতি এ্যাসাইনমেন্ট  এর উত্তর।

আরো দেখুন-

তোমাদের প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ ডট কম এর এন্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে নাও। এখানে এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে পেয়ে যাবে।

এছাড়াও তোমার মনে থাকা যেকোন প্রশ্ন এখানে করার সুযোগ রয়েছে; নিয়মিত আপডেট পাওয়ার জন্য অ্যাপটি ডাউনলোড করে নাও;

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ